এম হাবিবুর রহমান রনি, নাইক্ষ্যংছড়ি :: রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের গজর্নিয়া বাজার সংলগ্ন ব্রীজের নিচে ডাকা ফুটবল টুর্ণামেন্টে কমিটির সদস্যের চাঁদা উঠানো নিয়ে মারামারিতে খেলোয়াড় সহ ১২ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন,তিতার পাড়ার রহিম,ফরিদুল,শাহিন,আলী হোসেন ও আবদুল্রাহ। তৎক্ষনাৎ বাকীদের নাম পাওয়া যায়নি। আহতদের কয়েক জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে মারামারির ঘটনায় পরিস্থিতি নিযন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে গর্জনিয়া পাঁড়ির থেকে দাংগা পুলিশ এসে দীর্ঘ সময় পর নিয়ন্ত্রণে আনেন পরিস্থিতি। ঘটনাটি ঘটেছে ৬ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকাল ৪ টার দিকে।
সূত্র জানান, করোনার এ কঠিন সময়ে আইন না মেনে বিনা অনুমতিতে এ খেলার আয়োজন হয়। আবার এর উপর দর্শকদের কাছ থেকে টাকা তোলার ঘটনা। যুবলীগ নেতা আবদু শুক্রর, হানিফ ভুট্টোসহ আরো অনকের কাছ থেকে জানা যায় আজকের খেলা ছিলো দ্বিতীয় রাউেন্ডের। একদিকে ছিলো তিতার পাড়া ফুটবল একাদশ । অপর দিকে অংশ নেয় নাপিতের চর একাদশ ।
খেলা শুরুর প্রাক্কালে খেলা কমিটির সদস্য তৈয়ব, আবু,তার ভাইসহ আরো ৮/৯ জন ছেলে দর্শকদের কাছ থেকে খেলা দেখার জন্য টাকা বা চাঁদা চায় তিতার পাড়ার ইউনুছের ছেলে আবদুল্রাহর কাছ থেকে। সে চাঁদা দিতে অস্বীকৃত জানালে তর্কাতকিতে এক পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ে মারামারি। পুরা মাঠ রণক্ষেত্রে পরিগনিত হয়। এতে অনেক লোক আহত হন।
গজর্নিয়া পুলিশের এসআই রবিউল হাসান জানান, খবর পেয়ে ছুটে আসেন তারা। মারামারি চলছিল তখনও । তবে তারা এসে অনেক কষ্টে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আহতরা রামু হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে । বিষয়টি নিয়ে খেলা কমিটি ও তিতার পাড়ার লোকদের মাঝে চাপা খুব লক্ষ্য করা গেছে। সচেতন মানুষের মতে বিষয়টি দ্রুত নিরসন না হলে আরো বড় ধরনের দুর্ঘটনা হতে পারে তাই বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।
পাঠকের মতামত: